নিচের বাক্যটি লক্ষ কর-
গ্রাম-বাংলায় এখন চাষিদের ঘরে ঘরে নবান্ন।
উপরের বাক্যের 'নবান্ন' শব্দটি মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করলে দেখা যাবে যে পাশাপাশি অবস্থিত 'নব' এবং 'অন্ন' এ দুটি শব্দ দ্রুত উচ্চারণের ফলে তৈরি হয়েছে 'নবান্ন' শব্দটি। এ ক্ষেত্রে 'নব' শব্দের শেষে নিহিত 'অ' ধ্বনি এবং 'অন্ন' শব্দের প্রথমে অবস্থিত 'অ' ধ্বনি উভয়ে মিলে 'আ' ধ্বনি হয়েছে। যেমন:
নব + অন্ন = নবান্ন। (অ + অ = আ)
লক্ষণীয় যে আমরা যখন কথা বলি, তখন অনেক ক্ষেত্রে দ্রুত উচ্চারণের ফলে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি শব্দের ধ্বনি মিলে এক হয়ে যায় কিংবা একটি ধ্বনির প্রভাবে অন্য ধ্বনি বদলে যায় বা লোপ পায়। দ্রুত উচ্চারণের ফলে পাশাপাশি অবস্থিত ধ্বনির এই মিলন, পরিবর্তন বা বিলোপই সন্ধি নামে পরিচিত।
বস্তুত, 'সন্ধি' শব্দের অর্থ মিলন। এটি ধ্বনি পরিবর্তনের একটি বিশেষ প্রক্রিয়া ধ্বনির সঙ্গে ধ্বনির মিলনজাত প্রক্রিয়া।
সন্ধি বা ধ্বনির মিলন নানাভাবে হতে পারে। যেমন:
১. দুটি ধ্বনির আংশিক বা পূর্ণমিলন। যেমন: শত + অধিক শতাধিক [অ + অ = আ]
২. পূর্বধ্বনি বা পরধ্বনি লোপ। যেমন: নিঃ+ চয় = নিশ্চয় [ঃ+চ = চ]
সংজ্ঞা: পাশাপাশি অবস্থিত দুটি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে।
অথবা, পরস্পর সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলন, পরিবর্তন বা বিলুপ্তিকে সন্ধি বলে।
পাশাপাশি অবস্থিত দুটি ধ্বনি দ্রুত উচ্চারণের সময় সন্ধির ফলে উচ্চারণে স্বাচ্ছন্দ্য আসে এবং উচ্চারণ সহজতর হয়। সন্ধি ভাষাকে সংক্ষিপ্ত করে। যেমন: 'নব' 'অন্ন' উচ্চারণে যে সময় প্রয়োজন 'নবান্ন' উচ্চারণে তার চেয়ে কম সময় লাগে। এ ছাড়া 'নব' 'অন্ন' বলতে যে ধরনের উচ্চারণ-শ্রম প্রয়োজন, 'নবান্ন' তার চেয়ে সহজে উচ্চারিত হয়। কেবল তা-ই নয়- আলাদাভাবে 'নব' 'অন্ন' উচ্চারণের চেয়ে একসঙ্গে 'নবান্ন' উচ্চারণ অনেক বেশি শ্রুতিমধুর। অর্থাৎ সন্ধি ভাষার ধ্বনিগত মাধুর্যও সম্পাদন করে। সন্ধির ফলে নতুন নতুন শব্দও তৈরি হয়। শুদ্ধ বানান লিখতেও সন্ধি সহায়তা করে। সুতরাং উল্লিখিত দিকগুলো বিবেচনায় বাংলা ভাষায় সন্ধির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
১. স্বরসন্ধি: স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির মিলনে যে সন্ধি হয়, তাকে স্বরসন্ধি বলে। যেমন:
নব + অন্ন = নবান্ন অ + অ = আ
হিম + আলয় = হিমালয় অ + আ = আ
২. ব্যঞ্জনসন্ধি: স্বরধ্বনির সঙ্গে ব্যঞ্জনধ্বনির, ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির কিংবা ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে ব্যঞ্জনধ্বনির মিলনে যে সন্ধি হয়, তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে। যেমন:
উৎ + চারণ = উচ্চারণ (ত্ + চ = চ্চ)
সৎ + জন = সজ্জন (ত্ + জ = জ্জ)
বিসর্গসন্ধি: বিসর্গসন্ধি বলে ব্যঞ্জনসন্ধির একটি প্রকারভেদ আছে। বিসর্গ (ঃ) হচ্ছে 'র' এবং 'স'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। বিসর্গের সঙ্গে স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জনধ্বনির মিলনকে বিসর্গসন্ধি বলে। যেমন:
আবিঃ + কার = আবিষ্কার [ঃ + ক = স্ক]
কখনো কখনো বিসর্গসন্ধিকে ভিন্ন একটি শ্রেণিতে ফেলে সন্ধিকে তিন প্রকার বলা হয়। যেহেতু ':' (বিসর্গ) ব্যঞ্জনধ্বনির অন্তর্গত, সেহেতু বিসর্গসন্ধি ব্যঞ্জনসন্ধিরই অন্তর্ভুক্ত।
নিয়ম-১: বর্গের প্রথম ব্যঞ্জনের (ক্/চ্/ট্/ত্/প্) পরে স্বরধনি থাকলে বর্গের প্রথম ব্যঞ্জনস্থলে তৃতীয় ব্যঞ্জন (গ্/জ্/ড্/দ্/ব্) হয়। যেমন:
ক্ + স্বরধ্বনি = গ্ + স্বরধ্বনি:
দিক্ + অন্ত = দিগন্ত।
বাক্ + অর্থ = বাগর্থ।
প্রাক্ + উক্ত = প্রাগুক্ত।
বাক্ + ঈশ = বাগীশ।
চ্ + স্বরধ্বনি = জ্ + স্বরধ্বনি:
ণিচ্ + অন্ত = ণিজন্ত।
অচ্ + অন্তা = অজন্তা।
ট্ + স্বরধ্বনি = ড্ (ড়)+ স্বরধ্বনি:
ষট্ + আনন = ষড়ানন।
ষট্ + ঋতু = ষড়ঋতু।
ত্ + স্বরধ্বনি = দ্ + স্বরধ্বনি:
তৎ + অন্ত = তদন্ত।
কৃৎ + অন্ত = কৃদন্ত।
সৎ + ইচ্ছা = সদিচ্ছা।
প্ + স্বরধ্বনি = ব্ + স্বরধ্বনি:
সুপ্ + অন্ত = সুবন্ত।
নিয়ম-২: স্বরধ্বনির পরে ছু থাকলে ছ্ স্থানে চচ্ছ হয়।
যেমন:
অ+হ্ = অচ্ছ্
এক + ছত্র = একচ্ছত্র।
অঙ্গ+ছেদ = অঙ্গচ্ছেদ।
মুখ + ছবি = মুখচ্ছবি।
স্ব+ ছন্দ = স্বাচ্ছন্দ।
প্র + ছদ = প্রচ্ছদ।
বৃক্ষ+ছায়া = বৃক্ষচ্ছায়া।
আ+ছ্ = আচ্ছ্
আ+ ছন্ন = আচ্ছন্ন।
আ + ছাদন = আচ্ছাদন।
কথা + ছলে = কথাচ্ছলে।
পরীক্ষা + ছলে = পরীক্ষাচ্ছলে।
ই+ছ্ = ইচ্ছ্
পরি + ছদ = পরিচ্ছদ।
প্রতি + ছবি = প্রতিচ্ছবি।
পরি + ছন্ন = পরিচ্ছন্ন।
ব্যঞ্জনে-ব্যঞ্জনে সন্ধি
নিয়ম-৩: ত্ [৩] কিংবা দ্-এর পরে চ্ কিংবা ছু থাকলে ত্ বা দু স্থানে চ্ হয়। যেমন:
ত্ + চ্ = চ্চ উৎ + চারণ = উচ্চারণ। চলৎ + চিত্র = চলচ্চিত্র।
দ্ + চ্ = চ্চ বিপদ্ + চিন্তা = বিপচ্চিন্তা। তদ্ + চিত্র = তচ্চিত্র।
ত্+ছ্ = চ্ছ উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ। চলৎ + ছবি = চলচ্ছবি।
দ্ + ছ = ছ তদ্ + ছবি = তচ্ছবি। উদ্ + ছেদ =উচ্ছেদ ।
নিয়ম-৪: ত্ [९] কিংবা দ্-এর পরে জ্ কিংবা ঝ্ থাকলে সন্ধিতে দুয়ে মিলে জ্জ বা জ্ব হয়। যেমন:
ত্+জ্=জ্জ
উৎ + জীবন = উজ্জীবন।
উৎ + জ্বল = উজ্জ্বল।
সৎ + জন = সজ্জন।
তৎ + জন্য = তজ্জন্য।
অনুরূপ: উজ্জীবিত, যাবজ্জীবন, কজ্জল, জগজ্জীবন।
দ+জ্ =জ্জ
বিপদ্ + জনক = বিপজ্জনক।
তদ্ + জাতীয় = তজ্জাতীয়।
ত্+ঝ = জ্ব
কুৎ + ঝটিকা = কুজ্বটিকা।
নিয়ম-৫: ত্ [९] কিংবা দ্-এর পরে ড্ কিংবা ঢ্ থাকলে ত্ বা দ্ স্থানে ড্ হয়। যেমন:
ত্+ড্ = ড্ড
উৎ + ডীন = উড্ডীন। উৎ + ডীয়মান = উড্ডীয়মান।
দৃ + ঢ = ড্ঢ
এতদ্ + ঢক্কা = এতক্কা
ত্+শ্=চ্ছ
উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস।
উৎ+ শৃঙ্খল = উচ্ছৃঙ্খল।
উৎ + শল = উচ্ছল।
নিয়ম-১০: ত্ [९] কিংবা দ্-এর পরে হ্ থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে দ্ হয় এবং হ্ স্থানে ধ হয় এবং দুয়ে মিলে দ্ধ (দ্+ধ) হয়। যেমন:
ত্+হ = দ্+ধ্ = দ্ধ উৎ + হার উদ্ধার।
উৎ + হত = উদ্ধত উৎ + হৃত = উদ্ধৃত।
দৃ+হ =দ্ধ
তদ্ + হিত = তদ্ধিত।
পদ্ + হতি = পদ্ধতি।
নিয়ম-১১: নৃ কিংবা ম্ পরে থাকলে বর্গের প্রথম ধ্বনি সন্ধিতে পঞ্চম ধ্বনিতে পরিণত হয়। যেমন:
ক্ > ঙ্
দিক্ + নির্ণয় = দিঙ্নির্ণয়।
বাক্ + ময় = বাঙ্ময় ।
ট্ > ণ্
ষট্ + মাস = ষণ্মাস।
ত্ > ন্
উৎ + নয়ন = উন্নয়ন।
চিৎ + ময় = চিন্ময়।
মৃৎ + ময় = মৃন্ময়
নিয়ম-১২: আগে ম্ এবং পরে ক্/খ্/গ্/ঘ্-এর যেকোনোটি থাকলে সন্ধিতে ম্ স্থানে অনুস্বার (ং) বা উয়ো (ঙ) হয়। যেমন:
ম্+ক্=ং ক্/ঙ্ ক
অলম্ + কার = অলংকার/ অলঙ্কার।
অহম্ + কার = অহংকার/অহঙ্কার।
সম্ + কলন = সংকলন/ সঙ্কলন।
সম্ + কীর্ণ = সংকীর্ণ/সঙ্কীর্ণ।
ম্+গ্ = ংগ/ঙ্গ
সম্ + গত = সংগত/সঙ্গত।
সম্ + গীত = সংগীত/ সঙ্গীত।
ম্ + ম্ = ংঘ/ঙ্ঘ
সম্ + ঘ = সংঘ / সঙ্ঘ।
সম্ + ঘাত = সংঘাত/সঙ্ঘাত।
নিয়ম-১৩: আগে ম্ এবং পরে চ্ থেকে ম্ পর্যন্ত বর্গীয় ধ্বনির যেকোনোটি থাকলে পূর্বপদের ম্ স্থানে পরবর্তী বর্গীয় ধ্বনির পঞ্চম ধ্বনি হয়। যেমন:
ম্+চ্ = ঞ্চ
সম্ + চয় = সঞ্চয়।
কিম্ + চিৎ = কিঞ্চিৎ।
ম্ + ত্ = স্ত
সম্ + তাপ = সন্তাপ।
সম্ + ত্রাস = সন্ত্রাস।
গম্ + তব্য = গন্তব্য।
কিম্ + তু = কিন্তু।
ম্ + দ্ = ন্দ
সম্ + দর্শন = সন্দর্শন।
ম্+ধ্ = ন্ধ
সম্ + ধান = সন্ধান।
সম্ + ধি = সন্ধি।
ম্+ন্=ন্ন
সম্ + নিহিত = সন্নিহিত।
সম্ + নিবেশ = সন্নিবেশ।
কিম্ + নর = কিন্নর।
সম্ + ন্যাস = সন্ন্যাস।
ম্+প্=ম্প
সম্ + পদ = সম্পদ।
সম্ + প্রীতি = সম্প্রীতি
সম্ + প্রতি = সম্প্রতি।
সম্ + পূর্ণ = সম্পূর্ণ।
সম্ + পূরক = সম্পূরক।
ম্+ব্ =ম্ব
সম্ + বল = সম্বল।
সম্ + বোধন = সম্বোধন।
জ্ঞাতব্য: কখনো কখনো ম্-এর পরে ব থাকলে ম্ স্থানে ং হয়। যেমন:
ম্ + ব্ = ং
সম্ + বাদ = সংবাদ।
সম্ + বিৎ = সংবিৎ।
সম্ + বরণ = সংবরণ।
সম্ + বিধান = সংবিধান।
সম্ + বর্ধনা = সংবর্ধনা।
কিম্ + বা = কিংবা।
নিয়ম-১৪: আগে ম্ এবং পরে অন্তঃস্থ ব্যঞ্জন (য্/র্/ল্/ব্) কিংবা উষ্মধ্বনির (শ্ / স্/হ) যেকোনোটি থাকলে পূর্বপদের ম্ স্থানে ং (অনুস্বার) হয়। যেমন:
ম্ + য্ = ংয্
সম্ + যত = সংযত।
ম্ + র্ = ংর
সম্ + রক্ষণ = সংরক্ষণ।
সম্ + রক্ষিত = সংরক্ষিত।
ম্+ল্ = ংল
নিয়ম-১৫: চ বর্গের ধ্বনির পরে ন্ থাকলে সন্ধিতে নৃ-এর স্থলে ঞ হয়। যেমন:
চ্ + নৃ = চঞ
যাচ্ + না = যাঞ্চা।
জ্ + ন্ = জঞ
রাজ্ + নী = রাজ্ঞী।
নিয়ম-১৬: স্ -এর পরে ত্ কিংবা থ্ থাকলে ত-এর স্থলে ট্ এবং প্-এর স্থলে ঠ হয়। যেমন:
ষ্+ত্ = ত্ > ট্
নশ্ + ত = নষ্ট
বৃষ + তি = বৃষ্টি।
সৃজ্ + তি = সৃষ্টি।
কৃষ + তি = কৃষ্টি
ষ্+থ্ = থ্ > ঠ
ষষ্ + থ = ষষ্ঠ।
নিয়ম-১৭: ম্-এর পরে কৃ ধাতু নিষ্পন্ন 'কৃত', 'কার', 'করণ', 'কৃতি' ইত্যাদি শব্দ থাকলে ম্ স্থানেং হয়, এবং স্ ধ্বনির আগম হয়। যেমন:
ম্ + কৃত = ং + স্
সম্ + কৃত = সংস্কৃত।
ম্ + কার = ং + স্
সম্ + কার = সংস্কার।
ম্ + করণ = ং + স্
সম্ + করণ = সংস্করণ।
ম্ + কৃতি = ং + স
সম্ + কৃতি = সংস্কৃতি।
নিয়ম-১৮: উষ্মবর্ণ (শ স হ) পরে থাকলে পূর্বপদের শেষে অবস্থিত নৃ ধ্বনিং-এ পরিবর্তিত হয়। যেমন:
নৃ+স্ =ং
হিন্ + সা = হিংসা।
দন্ + শন = দংশন।
সিন + হ = সিংহ।
ব্যঞ্জনসন্ধিঘটিত শব্দের উদাহরণ
ব্যঞ্জনসন্ধি |
অনুচ্ছেদ = অনু + ছেদ। | অহংকার = অহম্ + কার। | উল্লাস = উৎ + লাস। |
উদ্ধার = উৎ + হার। | উচ্চারণ = উৎ + চারণ। | উজ্জ্বল = উৎ + জ্বল। |
উচ্ছ্বাস = উৎ + শ্বাস। | উচ্ছৃঙ্খল = উৎ + শৃঙ্খল। | উল্লেখ = উৎ + লেখ। |
উদঘাটন = উৎ + ঘাটন। | উদ্যোগ = উৎ + যোগ। | উদ্যম = উৎ + দম। |
উন্নত = উৎ + নত। | উন্নয়ন = উৎ + নয়ন। | কৃষ্টি = কৃষ্ + তি |
কুঞ্ঝটিকা = কুৎ + ঝটিকা। | চলচ্ছবি = চলৎ + ছবি। | চিন্ময় = চিৎ + ময়। |
জগদীশ = জগৎ + ঈশ। | জগন্নাথ = জগৎ + নাথ। | জগন্ময় = জগৎ+ ময়। |
ণিজন্ত = ণিচ্ + অন্ত। | তৎকাল = তদ্ + কাল। | তৎসম = তদ্ + সম। |
তদ্ধিত = তদ্ + হিত। | তন্মধ্যে = তৎ+ মধ্যে। | দিগন্ত = দিক্ + অন্ত। |
দিগজ = দিক্ + গজ। | দ্যুলোক = দিব + লোক। | পরিচ্ছদ = পরি + ছদ। |
পদ্ধতি = পদ্ + হতি। | প্রতিচ্ছবি = প্রতি + ছবি। | পরিচ্ছেদ = পরি + ছেদ। |
বাঙ্ময় = বাক্ + ময়। | বনস্পতি = বন + পতি। | মৃন্ময় = মৃৎ + ময়। |
যাচ্ঞা = যাচ্ + না। | রাজ্ঞী = রাজ্ + নী। | ষষ্ঠ = ষষ্ + থ। |
ষড়ঋতু = ষট্ + ঋতু। | ষড়যন্ত্র = ষট + যন্ত্র। | যণ্মাস = ষট্ + মাস। |
ষোড়শ = ষট্ + দশ। | সচ্চরিত্র = সৎ + চরিত্র। | সজ্জন = সৎ + জন। |
সঞ্চয় = সম্ + চয়। | সংবাদ = সম্ + বাদ। | সংগীত = সম্ + গীত। |
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন: (নমুনা)
১। নিচের কোনটি সঠিক সন্ধি?
ক. রাজা + নী = রাজ্ঞী
খ. বৃষ + তি = বৃষ্টি
গ. সিং + হ = সিংহ
ঘ. উথ + লাস উল্লাস
২। সন্ধি শব্দের অর্থ-
ক. সংযোগ
খ. সমাধান
গ. মিলন
ঘ. শান্তি
১। সন্ধির সংজ্ঞা এবং সন্ধির প্রকারভেদ উল্লেখপূর্বক বিভিন্ন প্রকার সন্ধির পরিচয় একটি পোস্টার পেপারে সুন্দর করে সাজিয়ে লেখ।
|
২। ছক অনুযায়ী নিচের শব্দগুলোর সন্ধি বিশ্লেষণ কর এবং সন্ধির নিয়ম লেখ:
শব্দ | সন্ধি-বিশ্লেষণ | সন্ধির নিয়ম |
নবান্ন | ||
শুভেচ্ছা | ||
দেবেন্দ্র | ||
নীলোৎপল | ||
মহোৎসব | ||
শীতার্ত | ||
হিতৈষী | ||
ইত্যাদি |
৩. সন্ধি কর :
জগৎ + নাথ =
জগৎ + ময় =
তদ্ + হিত =
দিক্ + অন্ত =
দিক্ + গজ =
দিব + লোক =
পরি + ছদ =
পদ্ + হতি =
বন + পতি =
মৃৎ + ময় =
ষট্ + ঋতু =
ষট্ + দশ =
সৎ + জন =
সম্ + বাদ =
সম্ + গীত =
common.read_more